prem-er-kobita

নির্বাচিত প্রেমের কবিতা

কন্টেন্ট সূচী Hide
  1. আল জাবের সৈকতের ২ টি প্রেমের কবিতা
    1. অন্ধকারের মোহ
    2. হয়তো তুমি
  2. মারুফা বেগম মলী’র প্রেমের কবিতা
    1. প্রভু পূজা
  3. মাহদিয়াব হোসেন দিহানের প্রেমের কবিতা
    1. তুমি আছো
  4. ইয়াসির আরাফাতের ২ টি প্রেমের কবিতা
    1. অপেক্ষা
    2. তুমি কী আসবে ফিরে
  5. মুশফিকা ইসলামের প্রেমের কবিতা
    1. সে…
  6. বায়েজিদ বোস্তামির প্রেমের কবিতা
    1. হিমেল হওয়া
  7. মৃন্ময় অন্তরের প্রেমের কবিতা
    1. তোমার সৌন্দর্য ও তুমি
  8. সাদেকুল ইসলাম সেলিমের প্রেমের কবিতা
    1. উৎক্ষিত মন
  9. মনিরুল ইসলামের প্রেমের কবিতা
    1. প্রেম
  10. রাফাত রহমান বর্ণ’র প্রেমের কবিতা
    1. প্রহর
  11. সিফাত সরকারের ২ টি প্রেমের কবিতা
    1. ভাগ্যিস তুমি আমার হলে না
    2. মুগ্ধতা
  12. ইসমাইল হোসেন বাদলের প্রেমের কবিতা
    1. প্রেম
  13. রাজ্য জ্যোতির প্রেমের কবিতা
    1. তুমি
    2. গাঁদা ফুল

কবিতা পড়তে কে না ভালোবাসে। আর প্রেমের কবিতা হলে তো কথাই নেই। এমন একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে জীবনে একবারও প্রেমে পড়েনি। যদি পাওয়া যায় তবে সে হবে অস্টম আশ্চর্য। প্রেমের আবেদন চিরন্তন সাথে প্রেমের কবিতারও। তাই যারা কবিতা ভালোবাসেন তাদের জন্য হিজিবিজি প্রকাশ করছে নির্বাচিত প্রেমের কবিতা। এক পাতায় এতোগুলো প্রেমের কবিতা পড়তে আপনাদের ভাল লাগবে বলে হিজিবিজি বিশ্বাস করে।

আল জাবের সৈকতের ২ টি প্রেমের কবিতা

অন্ধকারের মোহ

রঙ্গিন গোধূলী,পাখির ফেরা ভ্রমরের বিচরণ
স্তব্দ আমার পৃথিবী চার দেয়াল করেছি বরন
একা আছি আমি বিক্ষিপ্ত মন কুলষিত আবরন
রঙ্গিন চাদরের সুপ্ত সংগ্রামী সহজে সংক্রমন

রাতের অন্ধকারে, অস্তিত্ব শঙ্কা মনে
আতঙ্কিত চোখ স্বপ্নভেঙ্গে চলে
স্বতন্ত্র সত্ত্বা, মুক্ত গগনে ফেরা আজ দুষ্কর
অতৃপ্ত সব বাসনা, হৃদয়ে তুলছে ঝড়

হৃদয় চাইছে শান্তি , দাবি সহনশীল শীতল
অত্ন শুদ্ধি হোক নীরবে এড়িয়ে কোলাহল
আজকে জলসা, যক্ষপুরি অট্টহাঁসির শব্দ
প্রলয়ের পরে বিশ্বচক্র নিরব নিস্তব্দ

স্বপ্ন সায়রে লাল প্রবাহ, রক্ত রাঙ্গা বৃষ্টি
আনাড়ির সব শূন্য, নতুনের হোক সৃষ্টি..

শিকল বাঁধা অন্ধকার এককিত্বের মহাকাব্য
সম্মুখ সমোরে ধূসর প্রতিবিম্ব, মিথ্য সহজলভ্য
সন্ধির শেষ প্রেয়সীর বান, আষাড় সন্ধ্যে বেলা
শেষ হয়েছিলো পৃথিবী, শুরু মৃত্যুপুরীর খেলা

হয়তো তুমি

তুমি ভোরের মতো শুভ্র হঠাৎ ঝলকানি
উদ্দীপ্ত উজ্জল সূর্য আলোর ছড়াছড়ি
তবে আমি পেয়েছি কুয়াচ্ছন্ন অস্পস্ট
বিরহ বিরোধ যন্ত্রনাময় নির্বাক কষ্ট

তুমি আর গোধূলী আলাদা বুঝি?
তবে কেন এ নিস্তব্দতা, না পাওয়ার ব্যাথা
কেন এত মায়াবী, উদার শীতল রূপকথা
শুকনো মরু দিগন্তে অবিরাম খুঁজি

হয়তো মরিচীকা, নেই… শুধুই ভ্রম
এক রঙ্গিন পাখির মতো ছড়াও মায়া
নেই প্রপ্তি, আশা শুধু আকাঙ্খা চরম
প্রেম কোমলতা আর শুধু তোমার ছাড়া

তুমি হয়তো স্বপ্ন, যেখানে রঙিন সবই
চোখের পাতায় ভোরের আলো,
আঁধারে লুকিয়ে আসা কোন ছবি
অদ্ভুত আবেগ অতিসুন্দর অমূল্য

তুমি তবে সুর হও, এক মিলিত সত্ত্বা
বৃষ্টির ধারার সাথে মিশে ধুয়ে যাক অসুর
সেই সুরে হোক আমাদের না বলা কথা
সুরের মাধুর্যে অপূর্ন কাব্য হোক শ্রুতিমধুর

লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

      মারুফা বেগম মলী’র প্রেমের কবিতা

      প্রভু পূজা

      কি দিয়ে বলো পূজিব তোমায় প্রভু,
      এ কোন অসময়ে এলে মোর দ্বারে?
      চারিদিকে তীব্র কাঠিণ্য,
      বাগান যে মোর কাল হতে শূন্য।
      গতকাল ফুটেছিল দু খানা গাঁদা,
      তাই দিয়ে পূজিয়েছি,
      ঐ পাথর দেবতা।
      তুমি তো প্রাণময় মোর ভালোবাসা,
      বাঁশি ফুলে পূজিব তোমায়,
      একি মোর আশা!
      নয় নয় তাহা নয়
      প্রতিক্ষায় রব।
      বসন্ত এলে মোর দ্বারে প্রভু মনে রেখ সেইক্ষণে
      প্রিয়ারূপে তোমারে পূজিব।
      নতুন ফুলে গাথিব মোর মালা
      যবে প্রভু প্রিয় রূপে
      আসিবে মিলন বেলা।

      লেখক: শিক্ষক

      মাহদিয়াব হোসেন দিহানের প্রেমের কবিতা

      তুমি আছো

      জীবন নদীর তীরে
      তুমি এসেছিলে ভিড়ে,
      হৃদয়ে কেন দিয়ে ব্যাথা
      তুমি চলে গেলে দূরে।
      হারানো কথা সেই যে পিছে
      তুমি তো আছো মোর হৃদয়ে মিশে,
      ঢেউ দিয়ে চলে যাবে
      ভাবিনি তো হায়
      কাব্য নয় চিত্র নয় প্রতিমূর্তি নয়
      আমি তো চেয়েছি শুধু তোমার হৃদয় ।
      ভেবে মন চঞ্চল
      তোমাকে না পেয়ে জীবন হলো বিফল,
      আমরা দুজন ভেসে এসেছিলাম
      যুগল প্রেমের স্রোতে
      অনাদি কালের হৃদয় উৎস হতে
      তুমি আছো ! তুমি আছো ! তুমি আছো !
      একেবারেই আমার হৃদয়ে
      লাল টকটকে রক্তে মোড়া কাফনে !

      শিক্ষার্থী: কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ

      ইয়াসির আরাফাতের ২ টি প্রেমের কবিতা

      অপেক্ষা

      আধার নামে রাতে,
      সঙ্গ পাব কী তোর সাথে?
      দেখি শুধু তোরই ছবি,
      হবি কী তুই শুধু আমারই?
      জানি না আমি কিছু,
      তবু কেন যে যাই তোরই পিছু।
      থাকতে চাই তোর হাত ধরে,
      যতদিন পর্যন্ত যাব না মরে।
      কার কাছে কেমন তুই জানি না আমি
      কিন্তু আমার আছে তুই সবচেয়ে বেশি দামি
      চাই তোকে সব সময়ই
      পাই না কখনই
      ভালে থাকিস তুই
      চাওয়া আমার এইটুকুই

      তুমি কী আসবে ফিরে

      তুমি কী আসবে ফিরে?
      আমার মনের নদীর তীরে?
      যেখানে অপেক্ষায় আছি আমি
      ভাবছি, ফিরে আসবে কবে তুমি?

      তুমি কী আসবে ফিরে?
      লোকালয়ের সেই ভিড়ে?
      যেখানে হাঁটতাম প্রতিদিন
      বসন্ত হোক, শীত হোক রাত্রি বা দিন।

      তুমি কী আসবে ফিরে?
      আমার দুঃখে ভরা এই নীড়ে?
      জানি এটি সত্য
      তোমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা ব্যর্থ

      লেখক: শিক্ষার্থী

      মুশফিকা ইসলামের প্রেমের কবিতা

      সে…

      সে আসবে আবার কবে?
      বকুল তলা জূরে যখন
      সুবাস হবে স্বর্গ মতোন
      ভীষণ শখের ফুলগুলো তাই আবার ফুটে রবে!

      আকাশ পানে মেঘের খেলায়
      রঙিন কিছু তারার মেলায়
      প্রাণ ফিরবে যবে!
      সে আসবে কি ফের তবে!

      আসার কালে পথ হারিয়ে
      উদ্দীপনা সব ছাড়িয়ে
      ইচ্ছে বিলাস হবে!
      সে কি ফিরবে ঘরে তবে?

      তার পরশ এ মুগ্ধ হয়ে
      আকাশ কুসুম চিন্তা লয়ে
      রোজ আত্মা অপেক্ষমান রবে!
      সে আসবে আবার কবে?

      লেখক: শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

      বায়েজিদ বোস্তামির প্রেমের কবিতা

      হিমেল হওয়া

      তীব্র শীতের হিমেল হাওয়ায়,
      জনজীবন হয়ে গেছে স্থবির।
      পিঠার পরসা দূরে ঠেলে,
      জীবন বাচার আকুতি।
      ছিন্নমূলের যেখানে বসবাস,
      জীবন সেখানে নিদারুণ।
      সকল জড়তা ভর করে,
      ছিন্নমুলের জনতার উপরে।
      জীর্ণ-শীর্ণ হয় জনজীবন,
      ভোর হতে লোকালয় কর্মমুখর।
      অন্ন কষ্ট মাঘের চেয়ে বিভর্ষ,
      মানেনা তা শীত কিংবা গ্রীষ্ম।
      প্রভাতের খেজুর রসে পিঠা,
      যেন তা নিতান্ত বিলাশিতা।
      অন্ন-বস্ত্রের চাহিদা পূরণে,
      কাটে প্রভাত আর সাঝের বেলা।
      সূর্যের উদ্দীপ্ত আলোর কিরণে,
      প্রশান্তি মেলে জনজীবনে ।

      মৃন্ময় অন্তরের প্রেমের কবিতা

      তোমার সৌন্দর্য ও তুমি

      সোনালি ধানের ক্ষেতে লেগেছিল,
      তোমার শাড়ির সোনালী রং।
      ধানের শীর্ষে লেগে থাকা বাতাসের দোল, উড়তে ছিল তোমার ছড়ানো কালো কেশের ন্যায়।
      তোমার চলার সেই রুমঝুম পায়ের শব্দ,
      যেন স্তব্ধ করে ফেলেছিল প্রকৃতিকে।
      তোমার তিলে লেগে থাকা সেই ঠোঁটের হাসি
      লেগেছিল সকল পাখির কল-কাকলিতে।
      তোমার রূপের সৌন্দর্য দেখে,
      প্রকৃতি হয়তো লুকতে চেয়েছিল নিজেকে।
      প্রকৃতি বুঝি ভালোবেসে ফেলেছিল তোমার
      ঐ অপরূপ সৌন্দর্য কে!
      তোমার হাতের স্পর্শ পেয়ে,
      প্রকৃতি হয়তো আমার মতই ভালোবেসে ছিল তোমাকে।
      তাই তো তোমার প্রথম ছোয়া,
      আমাকে ভালোবাসা শিখিয়েছিল।
      যা আজও সযত্নে আগলে রেখেছি,
      তোমার অনুপস্থিতিতে।

      সাদেকুল ইসলাম সেলিমের প্রেমের কবিতা

      উৎক্ষিত মন

      আজও ঘড়ির কাটায় রাত বাড়ছে
      এগারোটা ঊনষাট মিনিট এক সেকেন্ড,দুই সেকেন্ড
      চলছে……..
      নিদ্রাতুর চোখে অপ্রাপ্তির বিষন্ন যন্ত্রণা।
      ছটফটানি..
      ঘরের ভিতর এতটা হাঁটা হয়েছে যে,পাদুকা ছিঁড়েছে।
      পা যেন হয়ে গেছে তার সতীন।
      মুঠোফোন টা আজ নিজেই নিজেকে অপরাধী ভাবছে।
      আজও মিসকল আসলো না!!!
      প্রতি ঘন্টায় ছত্রিশ’শ আর দিনে ৮৬৪০০ সেকেন্ড,
      পারি দিচ্ছে জীবন থেকে।
      শুধু তোমায় খুঁজতে।
      অর্থবহ মুহূর্ত গুলো অর্থহীনের সামিল, বেপরোয়া।
      উৎক্ষিপ্ত মন,নিক্ষপ্ত চোখ,নির্লজ্জ স্নায়ুকোষ
      আজও সেকেন্ড গুনছে….
      তোমায় খুঁজতে।

      লেখক: শিক্ষক ও ব্যবসায়ী

      মনিরুল ইসলামের প্রেমের কবিতা

      প্রেম

      প্রেম ভালোবাসার মহান ব্রোত
      সবার দারা হয় না
      সবার জীবনে প্রেম আসলেও
      সবাই পুর্ণতা পায় না

      নামের প্রেমিক সবাই আজ থেকে
      খেয়ে পরে যার নেই কোন কাজ
      পবিত্র প্রেমের গল্প গুলোতে
      দিয়েছে তারা নোংরা সাজ

      লাইলী মজনুর প্রেম কাহিনি
      বিশ্ব বসীর জানা
      তবুও মোরা প্রেমে আজ
      স্বার্থ খুজি ষোল আনা

      নিঃস্বার্থ প্রেম কাহিনি
      যেদিন দেখা হবে
      কল্পনায় দেখা গল্প গুলো
      বাস্তবে রূপ নিবে

      লেখক: শিক্ষার্থী, রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

      রাফাত রহমান বর্ণ’র প্রেমের কবিতা

      প্রহর

      আমার অপেক্ষার প্রহর গুলো গুনছে দিন
      যেন প্রতি মুহূর্ত কাটছে এক একটি শতাব্দী
      অবহেলা অযতনে পুড়ছি আমি
      খবর নেয় নি কেউ
      দিনশেষে হচ্ছে রাত, রাতের প্রহর দীর্ঘ।
      কিন্তু রাত শেষে ভোরগুলো আর ফিরছে না।
      নিঃশ্বাসের মাঝেও কেবল অশনি সংকেত
      এই বুঝি কেউ ধেয়ে এলো কিছু ধরণীর বুকে
      অসহায় আমি একা , নিঃস্ব সবকিছু খবর নেয় নেয় নি কেউ
      প্রজাপতিরা কানে কানে কয় শুভদিন দূরে নয়।

      লেখক: শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

      সিফাত সরকারের ২ টি প্রেমের কবিতা

      ভাগ্যিস তুমি আমার হলে না

      শোনো মেয়ে
      ভাগ্যিস তুমি আমার হলে না
      না হলে চাঁদনী রাতে চাঁদের আলোয়,
      চাঁদকে ফেলে তোমায় দেখতে হতো।
      তখন একটা,
      একটা আলোহীন কলঙ্কময় চাঁদ সেও আমাকে অহংকার করে বলতো
      আমি বড্ড স্বার্থপর।

      শুনছো,
      ভাগ্যিস তুমি আমার হলে না
      যদি তোমার কাজলের সুসজ্জিত
      পবিত্র আঁখি দুখানা আমার হতো,
      অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে,
      আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
      তখন আমার হৃদয় সুখের সাগরে তলিয়ে যেত
      সুখের মৃত্যুর সুখ পেত।

      শোনো,
      শৈশব পেরিয়ে কৈশোর পেরিয়ে যেদিন
      যৌবনের প্রথম স্তরে পা দিলাম,
      কত বন্ধু স্বজন আপন আমাকে
      পর করে চলে গেল।
      কিন্তু দুঃখ, দেখো দুঃখ আমাকে ছাড়েনি
      আমার একাকীত্ব সময়, নির্ঘুম রাত,
      ঘুম চুমু দেওয়া ভোরবেলা,
      গোধূলির তপ্ত দুপুর, নিস্তব্ধ বিকেল আর সন্ধ্যা রাতের অন্ধকারেও দুঃখ আমাকে ছাড়েনি।

      তোমাকে পেয়ে গেলে আমার জীবনে
      আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা দুঃখকে
      আমি ছেড়ে দিতাম,
      অভিমানে দুঃখ আমাকে ছেড়ে যেত।
      তখন দুঃখের মত পরম বন্ধু আমাকে,
      অভিমান করে আক্ষেপের সুরে বলত
      আমি বড্ড বেইমান।

      মুগ্ধতা

      নিস্তব্ধ দুপুর
      চৈত্রের খা খা রোদ ,
      বৃষ্টির জন্য চাতকের হাহাকার ।
      পরিশ্রান্ত কৃষকের বক্ষ বেয়ে
      ঝর ঝর ঝর ঘাম ঝরে পড়ছে তপ্ত দুপুরে ,
      উঠানে আমার পোষা বেড়াল
      সোহাগির পানির জন্য মায়াবী চোখে আকুতি।

      গেটের বাহিরে পত্রিকা ওয়ালার বিরক্তিকরা হাঁকাহাঁকি
      দশ দিন বাদে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার চিন্তা
      অন্তরালে ইন্টারনাল এলার্জি জনিত খুসখুসে কাশি ।
      নাসারন্ধ্রে বারতি পলিপাসের জন্য নিঃশ্বাস না নিতে পারায় অসহ্য যন্ত্রণা
      মাইগ্রেনের নরকীয় ব্যাথা।

      এই এত অস্বস্তির মাঝেও আমার ভাবনাই তুমি কিভাবে আসো?
      দুনিয়াবী বিরক্তিকর পরিবেশেও কিভাবে আমাকে এত মুগ্ধ করো?
      কিভাবে তোমাকে ভেবে আমি আনমনে হেসে উঠি?
      কিভাবে আমার মস্তিষ্কের এত ডোপামিন ক্ষরণ করো?
      কিভাবে? কিভাবে? কিভাবে?
      ভাবনায় আমাকে এত মুগ্ধ করো?

      লেখক: শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

      ইসমাইল হোসেন বাদলের প্রেমের কবিতা

      প্রেম

      প্রেম কাকে বলো তুমি?
      শরীরে শরীর ঘষা উষ্ণতা
      নাকি শীতার্ত শরীরের গরম কাপড়?
      প্রেম বলতে কি বোঝ তুমি?
      বুকের ভেতর বাংলাদেশটাকে নিরাপদ রেখে মুক্তির স্বপ্ন দেখা?
      নাকি তারুণ্যের স্রোতে
      মন্দ যা কিছু ভাসিয়ে দেয়া?
      প্রেমের শ্রেনি বিন্যাস জানো কি তুমি?
      বিপ্লব বিদ্রোহে সমাজ রাষ্ট্রকে ভাঙ্গা?
      নাকি মানবতার জয়গান?
      অথবা বিপন্ন মানুষের পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো?
      মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারার সক্ষমতা?
      প্রেম বুঝে থাকলে
      এসো ধুপকাঠির মতো নিজেকে পুড়িয়ে গন্ধ বিলোতে থাকি।

      লেখক: শিক্ষক

      রাজ্য জ্যোতির প্রেমের কবিতা

      তুমি

      আমি সুদ্ধপ্রেমিক, তাই বারবার প্রেমে পড়ি।
      কিন্তু আমার তুমি সবসময় তুমি হও না।
      কেন তোমাকেই বারবার আমার তুমি হতে হবে?
      বলতে পারো?

      গাঁদা ফুল

      তোমায় একটা হলুদ গাঁদা ফুল দিতে চাই।
      নেবে না তুমি?
      গুঁজবে না তোমার খোপায়?
      গ্রামের খাইরুল বা শহরের রঞ্জনার মতো সেঁজে,
      খোপায় গাঁদা ফুল গুঁজে, একটা ছবি তুলো।
      আমি মন ভরে দেখবো তোমায়।

      লেখক: সম্পাদক, হিজিবিজি

      Share this article
      0
      Share
      Shareable URL
      Prev Post

      সাম্য রাইয়ানের প্রেমের কবিতা

      Next Post

      অমর একুশে বই বিনিময় উৎসব ২০২৪

      Comments 1
      Leave a Reply

      Your email address will not be published. Required fields are marked *

      Read next

      ৩০ নভেম্বর ও বুদ্ধদেব বসু

      বুদ্ধদেব বসু ছিলেন একজন বাঙালি কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সাহিত্য সমালোচক। তিনি…
      30-november-and-buddhadeb-boshu

      ২৫ নভেম্বর ও তাজমহল 

      ভারতীয় ইতিহাসে ২৫ নভেম্বর ২০০৪ ছিল একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এই দিনে, আগ্রার তাজমহল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী…
      25-november-and-tajmahal
      0
      Share