১৯৯০ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন। এই জরুরী অবস্থা ঘোষণার ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এরশাদ ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে তোলেন। তিনি সংসদকে ভেঙে দেন এবং তার নিজের দল, জাতীয় পার্টিকে একচ্ছত্র ক্ষমতায় বসিয়ে দেন।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে এরশাদকে পরাজিত করার জন্য বিরোধী দলগুলো ৩ টি জোট গঠন করেছিল। ৮, ৭ ও ৫ দলীয় জোট। এই আন্দোলনে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ সকলেরই অংশগ্রহণ ছিল।
আন্দোলনের ফলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
জরুরী অবস্থার ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উপর যে প্রভাব পড়েছিল তা নিম্নরূপ:
- গণতন্ত্রের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছিল।
- নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল।
- বিরোধীদের দমন করা হয়েছিল।
- মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল।