২৪ নভেম্বর, ২০০৪ সালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ভিক্টর ইউশচেঙ্কো এবং আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনকে “অরেঞ্জ রেভুলেশন” বা “কমলা বিপ্লব” বলা হয়। আন্দোলনের তীব্র চাপে ১ ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে নির্বাচনের ফলাফল পুনর্গণনা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। পুনর্গণনায় ভিক্টর ইউশচেঙ্কোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
অরেঞ্জ বিপ্লব ইউক্রেনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের ফলে ইউক্রেনে গণতন্ত্রের পথ সুগম হয়।
অরেঞ্জ বিপ্লবের প্রেক্ষাপট
২০০৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এবং ভিক্টর ইউশচেঙ্কো ছিলেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ইয়ানুকোভিচ ছিলেন রাশিয়াপন্থি। তিনি রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েলেন। অন্যদিকে, ইউশচেঙ্কো ছিলেন ইউরোপের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে, ইউরোপপন্থি। তিনি ইউক্রেনের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর, ইউশচেঙ্কো ও তার সমর্থকরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তারা নির্বাচনের ফলাফল পুনর্গণনার দাবি জানান।
অরেঞ্জ রেভুলেশন
ইউশচেঙ্কো ও তার সমর্থকদের আন্দোলনকে “অরেঞ্জ রেভুলেশন” বা “কমলা বিপ্লব” বলা হয়। এই বিপ্লবের প্রধান স্লোগান ছিল “ভিক্টর ইউশচেঙ্কো, আমাদের রাষ্ট্রপতি!”
আন্দোলনের তীব্র চাপে ১ ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে নির্বাচনের ফলাফল পুনর্গণনা করা হয়। পুনর্গণনায় ভিক্টর ইউশচেঙ্কোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
অরেঞ্জ রেভুলেশনের ফলাফল
অরেঞ্জ রেভুলেশন ইউক্রেনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের ফলে ইউক্রেনে গণতন্ত্রের পথ সুগম হয় এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসে।